ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা তিন দফা দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেছে।
শনিবার সকাল ৯টা থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত এ কর্মবিরতি করেছে কর্মকতারা।
তাদের দাবি হলো- কর্মঘন্টা কমানো, বেতনের নীতিমালা পরিবর্তন ও চাকরির বয়সসীমা ৬২ বছরের উন্নীতকরণ।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কর্মকর্তারা সহকারী রেজিস্ট্রার পদে ৩৫ হাজার ৫০০ ও উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমান পদে ৫০ হাজার টাকা বেতন স্কেলের দাবি করে আসছেন।
আন্দোলনের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালে ২৪৭ তম সিন্ডিকেট সভায় শর্ত স্বাপেক্ষে দাবি মেনে নেয় তৎকালীন প্রশাসন। এতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ফলাফল ও চাকরির সময়ের উপরে কিছু শর্ত আরোপ করা হয়। এছাড়া কোন প্রশাসনিক জটিলতা সৃষ্টি হলে এই সুবিধা সংশোধন করার কথা বলে প্রশাসন।
এতে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত অনুযায়ী এই বেতন স্কেল থেকে বঞ্চিত কর্মকর্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তাদের দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি হওয়া ২৫৪তম সিন্ডিকেট সভায় সকলের জন্য একই স্কেল নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে সম্প্রতি দেওয়া বেতন স্কেলের নীতিমালায় সহকারী রেজিস্ট্রার হওয়ার ছয় বছর ও উপ-রেজিস্ট্রার হওয়ার পাঁচ বছর পর স্কেল কার্যকর হওয়ার বিষয় উল্লেখ আছে বলে জানান কর্মকর্তারা।
এ বিষয়ে কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি এটিএম এমদাদুল আলম বলেন, ‘আমাদের দাবিসমূহ যৌক্তিক। আমরা আজ (শনিবার) এক ঘন্টা কর্মবিরতি করেছি। আগামীকাল দুই ঘন্টা করবো। এর পরেও দাবি আদায় না হলে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবো।’
উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘একটা কমিটি করে বিচার বিশ্লেষণ করে ন্যায্যতার ভিত্তিত আইনগতভাবে এটার প্রাপ্যতা যদি থাকে সেটা নিশ্চিত করা হবে। আইনসম্মত ভাবে যা হয় তাই করা হবে।’
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।